আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ চীনের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন তৈরিতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। চীনের কোনো কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরিতে সফল হলে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেই ভ্যাকসিন দেবে চীন।
রোববার (২১ জুন) বিকেলে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাবের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা জানায় সফররত চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়া লং ইয়ান জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কার্যকর পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশকে চারটি সুপারিশসহ সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন জমা দেবে চীনা বিশেষজ্ঞ দল। এক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিবেদন চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চীনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। চীনে এখন পাঁচটি কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষণা করছে। চীনের কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরিতে সফল হলে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেই ভ্যাকসিন দেবে চীন।’
হুয়া লং ইয়ান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর পরামর্শ দেওয়ার জন্যই চীনা বিশেষজ্ঞদলের এ বাংলাদেশ সফর। এক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিনিধিদলের প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া হবে। সেখানে তাদের দেওয়া পরামর্শগুলো থাকবে।’
অনলাইনে জুম ক্লাউড মিটিং প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত এ ব্রিফিংয়ে ডা. শুমিং জিয়ানু সফররত চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদলের পক্ষে তাদের বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এ সময় ডিক্যাবের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি।
ডা. শুমিং জিয়ানু বলেন, ‘একেক দেশে করোনা মহামারী একেক ধরনের অবস্থা তৈরি হয়েছে। যেমন চীনের তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এখ উপসর্গহীন সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বলে তারা অগোচরেই সংক্রামক হিসেবে কাজ করছেন। এর ফলে সংক্রমণের হারে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি আরও বেশি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা ও মানুষের সচেতনতা।’
উপসর্গ দেখা দেওয়া রোগীদের চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে ডা. শুমিং জিয়ানু বলেন, ‘ফুসফুসে সংক্রমণ হলে যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে কোন অ্যান্টিবায়োটিক কী মাত্রায় দিতে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থা (পিক টাইম) চলছে কি-না তা বলা যাচ্ছে না। যে পরিস্থিতি দেখা গেছে তাতে এ বিষয়ে মন্তব্য করার সমীচীন নয়।
অপর এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শুমিং জিয়ানু বলেন, ‘বিশ্ব কবে নাগাদ করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাবে বা এ ভাইরাসের স্থায়িত্ব কতদিন হবে সেটা কেবল গবেষকরাই বলতে পারেন।