আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলায় বৃহস্পতিবার সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে (encounter) নিহত দুই জঙ্গি (militants) জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)-এর সদস্য বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে একজন আবার পাকিস্তানি নাগরিক। সুরক্ষা বাহিনীর তল্লাশির সময় জইশ জঙ্গিরা গুলি চালালে, এনকাউন্টার বেধে যায়। ঘটনাস্থলে নিহত হয় দুই জঙ্গি।
কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা (Baramulla)-র জেলার বনিগম পেইনের ক্রেরি অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চলছিল। বিশেষ সূত্রে জঙ্গি উপস্থিতির কথা জানতে পেরে এই অভিযান চালায় সুরক্ষা বাহিনী। জঙ্গিদের পালানোর পথ বন্ধ করতে তল্লাশির আগে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছিল। পুলিশের মুখপাত্রের দাবি, জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তারা সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে, সুরক্ষা বাহিনীকে নিশানা করে গুলি চালাতে থাকে।
দু-পক্ষের গুলির লড়াইয়ের পর দুই জঙ্গির দেহ হয়। নিহতদের একজনের নাম আবরার ওরফে লাঙ্গু। বিশ্বস্ত সূত্রের উল্লেখ করে পুলিশের দাবি, আবরার পাকিস্তানের নাগরিক। নিহত অপর জঙ্গির নাম আমির সিরাজ। বাড়ি সোপরে। নিহত দু’জনেই জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad)-এর সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপত্যকার এক পুলিশ কর্তার দাবি, নিহতদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা সহ একাধিক অভিযোগ ছিল।
চলতি ডিসেম্বরেই জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধে দুই পাকিস্তানি জঙ্গি মারা পড়ে। আর এক জঙ্গিকে জীবিত অবস্থায় পাকড়াও করতে সক্ষম হয় বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরের সুরানকোট এলাকায় এই এনকাউন্টার হয়। সেনার এক আধিকারিক জানান, এনকাউন্টারের তিন দিন আগে এই পাকিস্তানি জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। মুগল রোড ধরে দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় যাওয়ার পথে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গির এই দলটির এনকাউন্টার হয়।