আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলামকে জাতিসংঘের উন্নয়ন গবেষণা সেলের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ২৩ আগস্ট জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
জাতিসংঘের এই গবেষণা সেলের দায়িত্ব হচ্ছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত দেশ এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে নিপতিত দেশসমূহের অর্থনীতিকে সোজা করার সুনির্দিষ্ট পরামর্শ প্রদান করা।
ড. নজরুল হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। আর মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে এমএসসি করেছেন। তিনি অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড, এ্যামরয়, কিয়োশো ইউনিভার্সিটি ছাড়াও সেন্ট জোন্স ইউনিভার্সিটিতেও।
২০০৬ সালে অর্থনীতিবিদ হিসেবে জাতিসংঘে যোগদান করেন ড. নজরুল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বের যেসব দেশে অর্থনৈতিক দুর্যোগ নামে সেসব এলাকায় কীভাবে আর্থিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো যায়-তা নিয়ে গবেষণামূলক রিপোর্ট তৈরির মধ্যদিয়ে জাতিসংঘের ‘ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ব্রাঞ্চ’র গুরুত্ব এবং গ্রহণযোগ্যতাকে বৃদ্ধি করেছেন তিনি। তারই স্বীকৃতি পেলেন নয়া এই দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যদিয়ে।
এরই মধ্যে ড. নজরুলের কমপক্ষে ২০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলো মূলত মানবিকতার আলোকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে ধাবিত হবার দিক-নির্দেশনা রয়েছে। ১৯৯৮ সালে তারই নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘বেন’ (বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক)। এর ধারাবাহিকতায় ২০০০ সালে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন’ তথা বাপা যাত্রা শুরু করেছে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে।
দীর্ঘ দেড় দশকে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ মানবিক উৎকর্ষ সাধনে গবেষণামূলক রিপোর্ট উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন ড. নজরুল।
বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের আলোকেও বেশ কটি বই প্রকাশ করেছেন তিনি। যেগুলোতে গঠনমূলক আলোচনা পর্যালোচনা রয়েছে উন্নয়ন-সমস্যা-সম্ভাবনার ব্যাপারে।
মূলত ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পরিপূরক যাবতীয় (অর্থনৈতিক) পরিকল্পনা ইকসকের কাছে পেশ করারও মূল দায়িত্বটিও বিশ্ববরেণ্য এই বাংলাদেশির ওপর অর্পিত হলো। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব সংস্থায় বাংলাদেশির মেধার আরেক দফা মূল্যায়ন ঘটলো বলে মনে করছেন প্রবাসীরা।