আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ দুবাই প্রবাসীকে চোখ বেঁধে নির্যাতন ও টাকা দাবির অভিযোগে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফুল ইসলাম ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেনকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার মো. মহিন উদ্দিন নামের প্রবাসীকে নির্যাতন ও টাকা দাবির অভিযোগের পর তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুবাইফেরত প্রবাসীর অভিযোগের পরই সোমবার দুই অভিযুক্তকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বিজয়া সেনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে ভূক্তভোগী প্রবাসীর অভিযোগ, ‘গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দেশে আসার পথে এক প্রবাসী কিছু স্বর্ণ, একটি মোবাইল ও ল্যাপটপ ঢাকায় পৌঁছে দিতে আমাকে অনুরোধ করেন। ঢাকায় যাকে দেওয়া হবে, তাকে আমার ছবি তুলে দেওয়া হয়। কথামতো বিমানবন্দরে দুই ব্যক্তি আমার সেই ছবি দেখিয়ে জিনিসগুলো নিয়ে যান এবং প্রতিশ্রুতিমতো ১০ হাজার টাকাও দেন। কিন্তু কিছুদিন পর দুবাই থাকা ওই প্রবাসী তার লোকজন মালপত্র বুঝে পাননি বলে মৌখিক অভিযোগ করেন।’
ওই প্রবাসী আরও বলেন, ‘গত ৩ মার্চ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. শরীফুল ইসলাম আমার বাড়িতে এসে কোনো লিখিত অভিযোগ বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে আমাকে ধরে নিয়ে যান। পরে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে আমাকে বেদম শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এ সময় ২০ মার্চের মধ্যে আমাকে ছয় লাখ টাকা দিতে বলা হয়। অন্যথায় আমাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। আমি নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বের হয়ে আসি। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হই।’
এ বিষয়ে ডিবির ওসি মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ সুপারের লিখিত আদেশ পেয়ে এসআই মো. শরীফুল ইসলাম ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেনকে তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।’