আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ পিডিপি’র (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল) চেয়ারম্যান ডাকসুর সাবেক ভিপি ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মেয়ের বাসায় এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়। পিডিপির মহাসচীব এম এ হোসেন তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
তার স্ত্রী নিলুফার পান্না কোরেশী গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৫ সালের অক্টোবরে একবার ‘স্ট্রোক’ করার পর থেকেই একরকম অসুস্থ জীবনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে আবার ‘স্ট্রোক’ করার পর সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক ড. ফেরদৌস কোরেশীর মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন গভীর শোক জানিয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের অক্টোবরে একবার ‘স্ট্রোক’ করার পর থেকেই একরকম অসুস্থ জীবনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন কোরেশী। সোমবার দুপুরে আবারও ‘স্ট্রোক’ হওয়ার পর তাকে আর বাঁচানো যায়নি। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা শেষে ফেনীর দাগুনভূঁইয়ায় গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়।
কোরেশীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তাকে ফেনীর দাগনভুঁইয়ায় গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ষাটের দশকে অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন কোরেশী। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন তিনি।
ছয় দফা আন্দোলন ও ১১ দফা ভিত্তিক ছাত্র ও গণআন্দোল, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী ছিলেন সামনের কাতারে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র হিসেবে দেশবাংলা পত্রিকা প্রকাশিত হত তারই সম্পাদনায়।
১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠিত হওয়ার পর ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী প্রথম যুগ্ম মহাসচিব হন। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) গঠন করেন।