আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ রাজধানীর মিরপুরে কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা। ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় অধিকাংশ সবজি।মঙ্গলবার (২৭ জুন) মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই কাঁচা মরিচ ও বিভিন্ন সবজির দাম বাড়তি। মরিচ আমদানি করা হচ্ছে, দাম কমবে -এমন আভাস বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছলেও এর প্রভাব পড়ছে না। ক্রেতা ধরতে বিক্রেতারা দুয়েকদিন আগের মরিচ বিক্রি করছেন তুলনামূলক কম দামে।
মিরপুরের ১৩ নম্বরে সেকশন বাজারে রাকিবুল হাসান নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে অভিযোগের সুরে বলেন, মরিচের ব্যবহার চালের মতো বেশি না। কিন্তু এই অস্বাভাবিক দাম কীভাবে হয় বুঝতে পারি না। দাম আকাশচুম্বী হলে তখন শোনা যায় আমদানি করা হচ্ছে, বর্ডারে এসে গেছে। দাম কমবে। কিন্তু দাম বৃদ্ধির আগে কী করে? দাম বাড়বে সরকার বুঝতে পারে না?
বেগুন কেজি ১০০ থেকে বাজার ভেদে ১২০ টাকা; লম্বা বেগুনের কেজি ৮০ টাকা। বরবটির কেজি বাজার ভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। পেঁপে ৬০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। সজনে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, শসা ১২০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, চিচিংগা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, করল্লা বাজার ভেদে ৮০ থকে ১০০ টাকা এবং গোল আলু ৪০ টাকা, ক্যাপসিকাম ৩৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
গ্রাহক কম থাকায় বাজারগুলোয় মাছ মাংস কম দেখা গেছে। আগে বৃদ্ধি পাওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি; ব্রয়লার ১৮০ টাকা। গরুর মাংস ৮০০ টাকা। খাসি ১১০০। বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেশি ৭০ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা। আমদানি করা বড় রসুনের কেজি ১৬০ টাকা, দেশি রসুনের কেজি ধরণভেদে ৮০ থেকে ১৪০ টাকা। শুকনো মরিচের কেজি ধরণভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
আগের বৃদ্ধি পাওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের ডাল। মিরপুরের বাজারে দেখা গেছে ছোট মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা; আমদানি করা বড় ডাল ১০০ টাকা। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর ডাবলি কেজি ৮০ টাকা। ২০০ গ্রাম লাচ্ছির প্যাকেটের দাম ৫০ টাকা। ঈদ সামনে করে বেড়েছে সেমাইয়ের দাম। খোলা চিনির কেজি ১৪০ টাকা। প্যাকেট চিনি ১৫০ টাকা দেশি চিনির বাজারে প্রায়ই চোখে পড়েনি।
বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের চাল। মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ধরণ ভেদে ৬০ টাকা। বিআর আঠাশ ৬০ টাকা, চিকন চাল (মিনিকেট) ধরণভেদে ৭০ থেকে ৭২ টাকা।
বিক্রেতা ও বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের কেনাও পড়ছে বেশি। সেই তাল মিলিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তারা নিরুপায়। বাজারভেদে যেভাবে পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে তারা সেভাবে বিক্রি করছেন। কখনও কখনও কমেও বিক্রি করেন।