ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদঃ আজ পবিত্র হজ। ভোর থেকে আরাফামুখী লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান। বিশ্ব মুসলিম সম্মিলনের এক সামিয়ানায় সমবেত হতে দলে দলে সবাই আরাফার দিকে ছুটছে আর লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত করে তুলছে আরাফাতের অলি-গলি ও প্রান্তর। দুপুরের আগেই আরাফা ও পার্শ্ববর্তী নির্ধারিত সীমানায় হাজির হবে হজ পালনকারীরা।
আমরা চন্দ্র বছরের জিলহজ্ব মাস পার করছি। জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখকে ইয়াওমে আরাফা বা আরাফা দিবস বলে।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দিন আরাফাতের দিন অর্থাৎ ৯ জিলহজ, যে দিন পবিত্র হজ পালিত হয়। আর শ্রেষ্ঠ রাত লাইলাতুল কদর। রমজানের শেষ দশকের রাজমুকুট হলো কদর রজনী। আর জিলহজের প্রথম দশকের গৌরব হচ্ছে আরাফাতের দিন। মানবজাতি ও মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে ঘটনাবহুল আরাফাতের দিনের ফজিলত, বৈশিষ্ট্য ও করণীয় সম্পর্কে আসুন জেনে নিই:করোনা মহামারির কারণে গত বছর সীমিতসংখ্যক হজযাত্রী হজ পালন করতে পেরেছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজ পালন করেছেন। মহামারির আগের বছরগুলোতে হাজির সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যেত।আর এ বছর ১০ লাখ মানুষ হজের সুযোগ পাচ্ছে।
এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে দেড় লাখ মানুষকে হজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালন করবে।আরবি জিলহজ মাসের নবম দিনটিকে আরাফার দিন বলা হয়। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সেই দিনটির নাম ‘ইয়াওমু আরাফা’।এ দিনে হাজিরা মিনা থেকে আরাফার ময়দানে সমবেত হন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন।এটিই হজের প্রধান রুকন। আর ফজিলত হিসেবে এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।হাদিসে আছে, হজরত আনাস (রা.) বলেন, জিলহজ মাসের প্রথম দশকের প্রতিটি দিন ১ হাজার দিনের সমতুল্য আর আরাফার দিনটি ১০ হাজার দিনের সমান মর্যাদাপূর্ণ। -ফতহুল বারি,হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আরাফার দিনটি সব দিবসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।-উমদাতুল কারি।
এ দিনটি হজের মূল দিন। আরাফার ময়দানে হাজি সাহেবদের অবস্থান এ দিনেই হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা এ দিনকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছেন। দ্বীন-ইসলাম পূর্ণতার ঘোষণা দিয়েছেন এ দিনেই। এ দিনেই অবতীর্ণ হয়েছে কোরআনে কারিমের সর্বশেষ আয়াত, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলাম তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ০৩)সৌদি আরবে হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী ৮ জিলহজ। মক্কার অদূরে মিনার তাঁবুতে হাজীদের অবস্থানের দিন। (৯ জিলহজ) মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিন অর্থাৎ হজের দিন।মূলত ৮ জিলহজ ফজরের নামাজের পর থেকেই ইহরাম বেঁধে তালবিয়া পাঠ করতে করতে হাজীদের মিনার তাঁবুতে গিয়ে অবস্থান করার নিয়ম। সে হিসাবে হজের দিনগুলোর সূচনা ৭ জিলহজ্জ থেকেই।
নির্ধারিত স্থান (মিকাত) থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় অবস্থান করেই হাজীরা হজের সব করণীয় সম্পন্ন করবেন। সেখান থেকেই আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা হবে। দিন শেষে আরাফাতের ময়দান থেকে ফেরার পথে মুজদালিফায় রাত যাপন করে ১০ জিলহজ শনিবার সকালে আবার মিনার তাঁবুতে ফিরবেন। সেখান থেকে গিয়েই জামারাহতে শয়তানের প্রতি প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন। পশু কোরবানি করবেন এবং তাওয়াফে জিয়ারাহ, সাফা মারওয়া সাঈ করে আবার মিনার তাঁবুতে ফিরে আসবেন। পরের দুই দিনও একইভাবে মিনার তাঁবু থেকে গিয়ে জামারায় পাথর নিক্ষেপ করবেন। ১২ অথবা ১৩ জিলহজ পাথর নিক্ষেপ শেষ করে হাজীরা মিনার তাঁবু ত্যাগ করে হজের কর্তব্যের সমাপ্তি ঘটাবেন। এরপর মক্কা ত্যাগ করার আগে বিদায়ী তওয়াফ করে যে যার অবস্থানে চলে যাবেন।মিনার তাঁবুতে হাজীরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ তথা তালবিয়া পাঠ ছাড়াও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।
হজের মাসলা মাসায়েল নিয়ে নিজেরা আলোচনা করেন। আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে মুনাজাত করেন। মিনা থেকে হাজীরা আরাফাতের ময়দানে গিয়ে অবস্থান নেবেন। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের অন্যতম ফরজ। এখানে কেউ অবস্থান না করলে তার হজ আদায় হবে না।৯ জিলহজ ফজরের নামাজ পড়ে হাজীদের আরাফাতের উদ্দেশে রওনা দেয়ার নিয়ম। মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানের দূরত্ব ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। অনেকে হেঁটে আরাফাতের দিকে রওনা হন। দুপুরের আগেই হাজীরা আরাফাতের ময়দানে গিয়ে অবস্থান নেন। আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরাহ থেকে গ্র্যান্ড মুফতি জোহরের ওয়াক্ত শুরু হলেই খোতবা দেবেন। সেখানে জোহর ও আসরের নামাজের পরপর জামাত হবে। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত ওই ময়দানে অবস্থান করে হাজীরা আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করে কান্নাকাটি করে কাটাবেন। সূর্যাস্তের সাথে সাথেই ময়দান ত্যাগ শুরু করবেন। মিনায় ফেরার পথে মাঝে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন। ১০ জিলহজ সকালে ওই ময়দান ত্যাগ করে মিনায় ফিরবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভই হজ পালনের প্রধান উদ্দেশ্য। হজের প্রতিটি কাজের মধ্যেই আল্লাহর প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ, তার মুখাপেক্ষী হওয়া, তার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং তার নির্দেশিত পথে বাকি জীবন পরিচালনার স্বীকৃতি ও অনুশীলনই প্রকাশ পায়। এ জন্য হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, ‘হজে মাবরুর বা কবুল হওয়া হজের বিনিময় জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।’ এ জন্য হাজীরা সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন আল্লাহ যেন হজ পালনকে সহজ করে দেন এবং তার হজকে ‘মাবরুর হজ’ হিসেবে কবুল করেন। আর এই আরাফার ময়দানে অবস্থানকালে বা এই দিনে হাজি সাহেবদের সাথে বিশ্বের সমস্ত মুসলমান কিছু নেক আমল করে থাকেন। আসুন, আমরাও এই নেক আমলগুলো সম্পর্কে জেনে নিই এবং পালন করে নেক লাভ করি।> আরাফাতের দিনের রোজার ফজিলতকোরআনুল কারীমে আল্লাহতায়ালা বলেন: ঊষার শপথ! আরো শপথ (জিলহজ মাসের প্রথম) দশ রজনীর! এবং শপথ জোড় (ঈদের দিন) ও বেজোড় (আরাফার দিন) এর। (সূরা-৮৯ ফজর, আয়াত: ১-৩, ই.ফা.)।জিলহজের ১ থেকে ৯ তারিখ প্রতিদিনের রোজা ১ বছরের রোজার সওয়াব এবং প্রতিরাতের ইবাদত ১ বছরের ইবাদতের সমান সওয়াব। (তিরমিযী, খণ্ড:১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)।জিলহজের ৮ থেকে ১৩ তারিখ হজের কার্যক্রম, ৯ থেকে ১৩ তারিখ আইয়ামে তাশরীক, ৯ তারিখ হজ, ১০ তারিখ ঈদ, ১০ থেকে ১২ তারিখ কোরবানি এবং ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ আইয়ামে বীদ এর রোজা, যা প্রতি মাসেই রয়েছে। এক সাথে এত অধিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ইবাদত অন্য কোনো মাসে দেখা যায় না।প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি আশা করি আরাফাতের দিনের রোজার বদলায় আল্লাহতাআলা বিগত ১ বছরের ও পরবর্তী ১ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (সহীহ মুসলিম ও তিরমিযী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)।আরাফার দিন হল ইয়াওমুল আরাফা বা ৯ জিলহজ, যেদিন হাজীরা হজের প্রধান ফরজ অকুফে আরাফা বা আরাফা প্রান্তরে অবস্থান করে থাকেন।সারা পৃথিবীতে চান্দ্র তারিখের হিসাব চারভাবে হয়ে থাকে। এক. স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখে, দুই. মক্কা-মদিনা বা সৌদি আরবের সাথে, তিন. পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে প্রথম চাঁদ দেখার সংবাদের ভিত্তিতে, চার. জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাবের মাধ্যমে।এ কারণে সারা পৃথিবীতে একটি চান্দ্র মাসের দুটি বা তিনটি তারিখ দেখতে পাওয়া যায়। ফলে এক দেশের সাথে অন্য দেশের চান্দ্র তারিখ একদিন বা দুই দিন ব্যবধান হয়ে থাকে।মুজতাহিদ ফকীহগণের সিদ্ধান্তে এর যে কোনো একটি মতে আমল করলে উক্ত সওয়াব পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ!বাংলাদেশে কার্যত চান্দ্র তারিখের ২টি ধারা চালু আছে। প্রথমটি হলো- স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখে তারিখ নির্ধারণ করা; দ্বিতীয়টি হলো- সৌদি আরবের তারিখের অনুসরণ করা।
প্রথম মতের ফকীহগণের বক্তব্য হলো: ইয়াওমুল আরাফা বা আরাফার দিন হলো জিলহজ মাসের ৯ তারিখ। সুতরাং পৃথিবীর যেখানে যখন জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হবে সেখানকার অধিবাসীদের জন্য সেদিনই আরাফার দিন অর্থাৎ ইয়াওমুল আরাফা।জিলহজ মাসের ৯ তারিখই হলো আরাফার দিন বা ইয়াওমুল আরাফা। যেমন- জিলহজ মাসের ৮ তারিখকে ইয়াওমুত তারবিয়াহ এবং ১০ তারিখকে ইয়াওমুন নাহার বা কোরবানির দিন বলা হয়। অনুরূপভাবে ৯ তারিখ হলো ইয়াওমুল আরাফা বা আরাফার দিন।> দ্বিতীয় মতের আলেমগণের ব্যাখ্যা হলো: আরাফার রোজার ফজিলত সংক্রান্ত হাদিসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি, বরং নির্দিষ্ট একটি বিশেষ দিনের উল্লেখ করেছেন; আর সেদিনটি হলো আরাফার দিন অর্থাৎ হজের দিন, যে দিন হাজীগণ আরাফা ময়দানে অবস্থান করেন।সুতরাং ৮ বা ৯ তারিখ নয় বরং হজের দিনই রোজা রাখতে হবে। হজ যেহেতু পৃথিবীতে শুধুমাত্র এক জায়গায় মক্কা শরীফেই অনুষ্ঠিত হয়, তাই সারা পৃথিবীতে সেই হজের দিনই আরাফার রোজা প্রতিপালিত হবে।কারণ এই রোজাটি তারিখের সাথে সম্পর্কিত নয়, স্থান ও কর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
আর তা হলো মক্কা ও হজ।এক থেকে নয় তারিখ রোজা পালন করলে এর মধ্যেই আরাফার রোজা পালন হয়ে যাবে, এটাই সর্বোত্তম। নয়টি রোজা না রাখলেও আট ও নয় তারিখ দুটি রোজা করলেও আরাফার রোজা আদায় হয়ে যাবে- এটা নিরাপদ।যদি কেউ একটিমাত্র আরাফার রোজা রাখতে চান, তিনি উপর্যুক্ত বিশ্বব্যাপী অনুসৃত চারটি মতের বা বাংলাদেশে প্রচলিত দুটি মতের যে কোনো একটি অনুযায়ী ইখলাস ও তাকওয়ার সাথে আমল করলে পূর্ণ সওয়াব প্রাপ্ত হবেন।যারা যেই মতকে অধিক প্রামাণ্য ও যুক্তিসঙ্গত মনে করবেন ও তা অনুসরণ করে আন্তরিক অনুরাগের সাথে আমল করবেন, তারাই এই সওয়াবের অধিকারী হবেন। তবে মুজতাহিদ ফকীহগণ গবেষণার ক্ষেত্রে দলিল প্রমাণ ও যুক্তি-তর্কে অন্য মতের বিরোধিতা বা খণ্ডন করতে পারবেন।> আরাফার দিনে ”আরাফার রোজা” রাখার তিনটি কারণঃ-রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে তা বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের গুনাহকে ক্ষমা করিয়ে দেবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)উক্ত হাদিসে ‘আরাফার দিন’ বলতে ৯ জিলহজের কথা বলা হয়েছে। ৯ জিলহজ ‘আরাফার দিন’ বলার তিন কারণ বিজ্ঞ আলেমরা উল্লেখ করেছেন।১। ইবরাহিম (আ.) ৮ জিলহজ রাতে স্বপ্ন দেখেন যে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তানকে জবাই করছেন। কিন্তু স্বপ্নটির মর্ম সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারেননি, তাই চিন্তিত ছিলেন। তারপর ৯ জিলহজ পুনরায় ওই স্বপ্ন দেখার পর তার ব্যাখ্যা সুস্পষ্টরূপে বুঝতে ও চিনতে সক্ষম হন। ঘটনাটির স্মরণে ৯ জিলহজকে ‘আরাফার দিন’ বলা হয়। কেননা ‘আরাফা’ শব্দের অর্থ হলো জানা, চেনা ইত্যাদি।
(তাফসিরে বাগাবি ৭/৪৮)২। জিবরাইল (আ.) ৯ জিলহজে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হজের আমলগুলো বিস্তারিত জানিয়েছেন। আর ‘আরাফা’ শব্দের এক অর্থ হলো জানা। তাই ৯ জিলহজকে ‘আরাফার দিন’ বলে। (আল-বিনায়া ৪/২১১)৩।এই দিনে হজযাত্রীরা হজের আমল হিসেবে ‘আরাফা’ প্রান্তরে অবস্থান করেন। তাই ৯ জিলহজকে ‘আরাফার দিন’ বলা হয়। (আল-ইনসাফ ৩/২৪৪)এ আলোচনায় স্পষ্ট হলো যে আরাফার দিনের নামকরণের একমাত্র কারণ ‘আরাফা’ প্রান্তরে অবস্থান নয়, বরং অন্য কারণও রয়েছে। তাই এই দিনকে সব দেশের ক্ষেত্রে আরাফায় অবস্থানের সঙ্গে নির্ধারিত করা ঠিক নয়, বরং ৯ জিলহজ হলো ‘আরাফার দিন’। এখন যে দেশে যেদিন জিলহজের ৯ তারিখ, ওই দেশের ‘আরাফার দিন’ সেটিই। হজযাত্রীদের আরাফার ময়দানে অবস্থানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।
> এই বছর আরাফাত দিবসে খুতবা বাংলাসহ ১৪ ভাষায় প্রচার, শুনবে ২০ কোটি মানুষ:-পবিত্র হজ উপলক্ষে এ বছর আরাফাত দিবসের খুতবা বাংলাসহ মোট ১৪টি ভাষায় অনুবাদ করে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এ বছর অনুবাদের তালিকায় থাকা ভাষাগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি, চীনা, মালয়, উর্দু, ফারসি, রুশ, তুর্কি, হাউসা, স্প্যানিশ, হিন্দি, সোয়াহিলি ও তামিল। গত বছর বাংলাসহ ১০ ভাষাষ এ অনুবাদ সম্প্রচার করা হয়েছিল।আরাফাতের খুতবার লাইভ অনুবাদ এবার পঞ্চম বছরের মতো সম্প্রচারিত হবে। আরবি ছাড়াও খুতবাটি এ বছর আরও ১৪টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রচার করা হবে। অনুবাদ করে খুতবা প্রচারের প্রথম বছরে ১০ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছে, দ্বিতীয় বছরে ১ কোটি ১০ লাখ, তৃতীয় বছরে ৫ কোটি, চতুর্থ বছরে ১০ কোটি মানুষের কাছে খুতবা পৌঁছেছে। ১৪ ভাষায় প্রচারের কারণে এ বছর সারা বিশ্বের ২০ কোটি লোকের কাছে পৌঁছাবে এ খুতবা।পরিশেষে, আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইয়াওমে আরাফার গুরুত্ব উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। পাশাপাশি তওবা ইস্তেগফার করার তাওফিক দান করুন এবং সবাইকে মাবরুর হজ নসিব করুন। আমিন।