পাকিস্তানের ইসলামাবাদ রণক্ষেত্র, নিহত ৫

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে ডাকা ‘চূড়ান্ত বিক্ষোভে’ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ। ইসলামাবাদে জড়ো হয়েছেন ইমরানের দল পিটিআইয়ের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। এরমধ্যে অনেকে বিক্ষোভের মূলকেন্দ্র ডি-চকেও পৌঁছে গেছেন। সংঘর্ষে আজ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, ইমরানের সমর্থকরা ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে বিপুল কাঁদানে গ্যাস ছোড়েন। ওই সময় তারা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

ইমরানের সমর্থকরা যেন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অবকাঠামোতে ঢুকে পড়তে না পারেন সেজন্য সেখানে সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, সেনাবাহিনীকে সড়কে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে দেখা যায়নি। তারা মূলত অবকাঠামো রক্ষার কাজ করবে।

আলজাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার ডি-চক থেকে জানিয়েছেন, সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছাড়াও আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সকে ‘স্বয়ংক্রিয় রাইফেল’ থেকে গুলি করতে দেখা গেছে। তিনি বলেছেন, ডি-চকে এত পরিমাণ কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে যে সেখানে ‘পাতলা গ্যাসের মেঘের’ সৃষ্টি হয়েছে।

সেখানকার পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত জানিয়ে এই সাংবাদিক বলেছেন, ‘যখন তাদের (বিক্ষোভকারী) লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস অথবা গুলি ছোড়া হচ্ছে তখন তারা পড়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনই আবার ফিরে আসছে। বলা যায় ইসলামাবাদে বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’

তিনি আরও বলেছেন, “আমরা বিক্ষোভকারীদের আহতদের নিয়ে যেতে দেখেছি। তারা বলেছে, তাদের অনেকেই আহত। কিন্তু তা সত্ত্বেও দাবি থেকে তারা একটুও নড়বে না। ধারণা করা হচ্ছে ডি-চকে আরও মানুষ আসবে। এখন দেখার বিষয় সরকার এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, সরকার বারবার আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে পিটিআই নেতৃত্ব আলোচনা থেকে শুধু সময় নিয়েছে এবং রাজধানীর দিকে অগ্রসর হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদের আইজিকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।

SHARE THIS ARTICLE