আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে উঠতে হচ্ছে পাকা ব্রিজে। এভাবেই শত শত মানুষ প্রতিদিন হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করে থাকেন। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউপির ঘাটাবাড়ি এলাকায় রূপসী-পাকুরতলা সড়কে দুই বছর আগে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ওই ব্রিজে উঠতে ব্যবহার করতে হয় বাঁশের সাঁকো।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অর্থায়নে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৭ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট কংক্রিট ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় উপজেলার জালালপুর ইউপির জালালপুর, ঘাটাবাড়ি, পাকুরতলা, বাঐখোলা ও কুঠিরপাড়ার পাঁচ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে ব্রিজটি পার হচ্ছেন।
ব্রিজ দিয়ে চলাচলে জালালপুর গ্রামের আসাদ আলী, পাকুরতলা গ্রামের আব্দুল হামিদ, দুলাল শেখ, রবি চান ও আলম শেখ জানান, দুই বছর ধরে যাতায়াতে চরম কষ্ট পোহাচ্ছি। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুদের যাতায়াতে বেশি কষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, ব্রিজটি নির্মাণের পর দায়সারাভাবে সামান্য মাটি ফেলা হয়। ফলে বর্ষার শুরুতেই তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর দুই বছর ধরে স্থানীয়রা এ ব্রিজের দুই পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারে পয়সা তুলছেন। এতে কষ্ট করে যাতায়াত করা গেলেও অর্থদণ্ড লাগছে।
কুঠিরপাড়ার মুদি দোকানদার আমজাদ আলী বলেন, দুই বছর ধরে এ ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় এ সড়ক দিয়ে সরাসরি কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ধান, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস মাথায় করে পার হতে হয়। এতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। এজন্য ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি পাঁচ গ্রামের মানুষের।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ জানান, ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির চাপে তা ভেঙে গেছে। ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে আবারো মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্রিজ পার হতে টাকা তুলছে বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙে গেছে। পানি সরে গেলে অতিদ্রুত মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে।