ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৩০ অভিবাসী নিখোঁজ, ১৭ বাংলাদেশি উদ্ধার

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় ৩০ অভিবাসী ডুবে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নৌকাডুবির ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ ‍দুর্ঘটনা ঘটে। লিবিয়া থেকে অবৈধপথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তারা ইতালি যাচ্ছিলেন এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে সর্বশেষ মারাত্মক নৌকাডুবির পরে উদ্ধার হওয়া ১৭ অভিবাসীকে সোমবার ইতালীয় কর্তৃপক্ষ উপকূলে নিয়ে এসেছে। উদ্ধার করা এসব অভিবাসীদের ইতালির সিসিলি দ্বীপের পোজালো শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তারা সবাই মূলত বাংলাদেশের নাগরিক।

ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে লিবিয়া থেকে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় নামা অভিবাসীদের একটি নৌকা গত রবিবার ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। নৌকাডুবির ওই ঘটনায় ভূমধ্যসাগরে ৩০ অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন।

এর আগে অবৈধপথে ইতালি যাওয়ার সময় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়ার কাছে নৌাকডুবির ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন অভিবাসীর প্রাণহানি হয়। এরপর এজিয়ান সাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় পাঁচ অভিবাসী প্রাণ হারায়। তুরস্কের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ৩১ জনকে নিয়ে নৌকাটি যাত্রা শুরু করে। তাদের মধ্য থেকে শিশুসহ ১১ জনকে উদ্ধার করেছে তারা। দুই সপ্তাহের বেশি কিছু সময় পর আবারও অভিবাসীবাহী নৌ দুর্ঘটনার খবর সামনে এলো।

রয়টার্স বলছে, অ্যালার্ম ফোন নামের একটি দাতব্য সংস্থা অভিবাসীদের দুর্দশার জন্য ইতালিকে দায়ী করেছে। সংস্থাটি বলছে, অভিবাসীবাহী ওই নৌকাটি সমস্যায় পড়েছে বলে শনিবার বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ইতালি সেখানে তার কোস্টগার্ডকে পাঠায়নি।

নৌকাটিতে ৪৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল জানিয়ে রবিবার গভীর রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে অ্যালার্ম ফোন অভিযোগ করে, ‘স্পষ্টতই ইতালীয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা এড়াতে চেষ্টা করছিল। কারণ তারা উদ্ধারে গেলে বিপদাপন্ন এই অভিবাসীদের ইতালিতে আনতে হবে। আর এই কারণেই হস্তক্ষেপে বিলম্ব করে ইতালি চাইছিল যেন তথাকথিত লিবিয়ান কোস্টগার্ড সেখানে আসে এবং জোরপূর্বক লোকদের আবারও লিবিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।’

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইতালির উপকূলরক্ষীরা বলেছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যাওয়ার এই ঘটনাটি ইতালীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এলাকার (এসএআর) বাইরে ঘটেছে। এমনকি ইতলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, নৌকাডুবি এড়াতে রোম যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।

চলতি বছরের ১০ মার্চের হিসাবে ইতালির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবছর ইতোমধ্যে ইতালিতে ১৭ হাজার ৬০০ জন অনিয়মিত অভিবাসী এসেছেন। গত বছর ২০২২ সালে সংখ্যাটা ছিল ছয় হাজার।

SHARE THIS ARTICLE