মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনে রায়ের কপি-নথি হাইকোর্টে পাঠানোর প্রস্তুতি

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি, মামলার সব নথি ও কেস ডকেট দুয়েকদিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম আজ মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মামলার আসামি মো. লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ৩০০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি, যাবতীয় নথি ও কেস ডকেট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হবে।’

কক্সবাজার জেলার সাবেক পিপি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সিনহা হত্যা মামলায় বাদি পক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থেকে  মামলার রায়ের কপি, ডকেট ও নথি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ২ আসামির ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হবে।’

শুনানিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অংশ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।  

তিনি আরও বলেন, ‘যে ২ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে তারা চাইলে ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে  আপিল করতে পারবেন। তবে রায় ঘোষণার দিন থেকে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যেই এ আপিল করা যায়।’

যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়েছে তারা সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক নন্দলাল রক্ষিতের আইনজীবী দীলিপ কুমার দাশ ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

এ দিকে, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে কারাবিধি অনুযায়ী গতকাল সোমবার থেকে কয়েদিদের জন্য নির্ধারিত পোশাক পরিয়ে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। 

আগে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তাদের ডিভিশন থাকলেও, রায়ের পর ডিভিশন বাতিল করা হয়েছে এবং সাধারণ কয়েদিদের মতোই কারাগারে রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) নেছার আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তারা জেলকোড অনুযায়ী সুবিধা পাবেন।

জেল সুপার বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য আলাদা কোনো কনডেম সেল না থাকায়, দুটি কক্ষকে কনডেম সেল করে সেখানে তাদের ২ জনকে রাখা হয়েছে।’

এছাড়া, সিনহা হত্যা মামলার রায়ে বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত ৭ জনকে গতকাল সন্ধ্যায় আদালতের আদেশের কাগজপত্র পেয়ে যাচাই-বাছাই করে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

SHARE THIS ARTICLE