আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ কক্সবাজারে চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে এখনই সন্তুষ্টি প্রকাশের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এ সময় তিনি বলেছেন, যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কারও সঙ্গে না ঘটে।
বুধবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে ২৪ পদাতিক ডিভিশনে ছয়টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়ে মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান এমন মন্তব্য করেন। সেনাপ্রধান বলেছেন, তদন্তাধীন কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক না। এটা একটা নৃশংস ঘটনা। এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। সেনাপ্রধান হিসেবে আমি আশা করি, তদন্তটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। তদন্তে কী বেরিয়ে আসে সেটা দেখি। সাজাটা যখন হবে তখনই সন্তুষ্টির বিষয়টা আসবে। এর আগে সন্তুষ্টির বিষয়ে বলার কোনো সুযোগ নেই।
মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে একটি নৃশংস এবং অত্যন্ত জঘন্যতম ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ অন্যায্য সুবিধা নিতে চেষ্টা করেছিল। সচেতন মানুষ তা বুঝতে পেরেছে। এ ঘটনায় শুধু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘৃণা জানানো হয়নি, পুলিশপ্রধানও এসেছিলেন। তারাও ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সবাই ন্যক্কারজনক এ ঘটনার জন্য মর্মাহত।
সেনাপ্রধান বলেন, আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি, একটা ঘটনা ঘটলে কেউ না কেউ অন্যায্য সুবিধাটা নিতে চায়। এবারও অনেকে চেষ্টা করেছিল। হয়তো এখনও করছে। কিন্তু সচেতন মানুষ তা বুঝতে পারে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীতে কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটলে সেটার অভ্যন্তরীণ তদন্ত হয়। সিনহা হত্যার ঘটনায়ও সেনাবাহিনী তদন্ত করছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরকারকে কোনো সুপারিশ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ এ ঘটনার পরপর সরকারের পক্ষ থেকে একটি যৌথ তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এ তদন্ত টিমের প্রতি সেনাবাহিনী এবং আমি নিশ্চিত, পুলিশ বাহিনীরও সমর্থন রয়েছে। এ তদন্ত দল সরকারকে যেটা উপযুক্ত মনে করবে তারা সুপারিশগুলো করবে। সুতরাং আলাদাভাবে সুপারিশ করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি ও তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১০ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে।