আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বার্সেলোনা ভক্ত-সমর্থকরা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছিলেন। কখন না যেন প্রিয় ফুটবলার তার নতুন ঠিকানা খুঁজে নেয়। কিন্তু হাজারো জল্পনা-কল্পনা শেষে ভক্তদের সেই চিন্তায় ফুলস্টপ টানলেন লিওনেল মেসি। চলমান দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ন্যু ক্যাম্পেই থেকে গেলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর।
গত ২৫ আগস্ট বুরোফ্যাক্সের মাধ্যম বার্সাকে মেসি জানান, সেখানে আর থাকছেন না তিনি। এরপর থেকেই দ্বন্দ্বের উৎপত্তি। দলের অধিনায়কের এমন ঘোষণার পর বার্সা বোর্ডের স্পষ্ট কথা, নতুন মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। তাই রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন ইউরো বুঝিয়ে দিয়ে তবেই ক্লাব ছাড়তে হবে।
বার্সার এমন কথা মানতে নারাজ ছিলেন মেসির আইনজীবীরা। তাদের মতে, এবারের মৌসুম শেষ হতে বিলম্ব হয়েছে। এখন পুরনো চুক্তির হিসেব করলে চলবে না। তাই বিনা ট্রান্সফার ফিতেই ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে পারবেন এলএমটেন।
দুই দশক হল বার্সাতেই আপন নিবাস। তাই প্রিয় ক্লাবের সাথে শেষ বেলায় দুই কথা হোক, সেটা চাননি মেসি। প্রস্তাব দেন আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে বিদায় নেওয়ার। কিন্তু এ ফুটবলারের প্রস্তাব এক কথায় ‘না’ বলে উড়িয়ে দেয় বার্সা।
তবে মেসিকে না করে দিলেও তার বাবা হোর্হে মেসিকে উল্টো বৈঠকের প্রস্তাব দেয় কাতালান ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ। তাতে সাড়া দিয়ে বার্সেলোনায় উড়ে যান হোর্হে। এরপর আলোচনায় বসেন বার্সা বসের সাথে। কিন্তু কথা ওই আগেরটাই। আলোচনায় উভয় পক্ষই নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অটুট থাকে।
তাই কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় বার্তোমেউ-হোর্হে বৈঠক। তবে এরপরই মেসির বার্সায় থাকা নিয়ে ইঙ্গিত দেন দুই সাংবাদিক মার্টিন আরেভালো এবং সিজার লুইস মার্লো। তারা দাবি করেন ম্যানসিটি নয়, এখন বার্সাতে থাকার চিন্তাই করছেন ছয় বারের ব্যালন ডি অর জয়ী। অবশেষে সত্যি হল আরেভালো এবং মার্লোর কথাই।