ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ম্যারাডোনা ফুটবল খেলেছেন মাত্র ২১ বছর। ৬০ বছরের জীবনে বাকি ৩৯ বছর ফুটবলের বাইরে। কিন্তু এই ২১ বছরে ফুটবল মাঠে নিপুণ শিল্পীর মত যে ছবি এঁকেছিলেন, তা তাকে এনে দিয়েছে তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ফুটবলারের খ্যাতি। ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান আর্জেন্টিনা। দেশটিতে ইতিমধ্যে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) আর্জেন্টিনার স্থানীয় সময় বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এই ফুটবল কিংবদন্তি। ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে সারাবিশ্বেই। শুধু ক্রীড়াঙ্গনের মানুষই নয়, সারা বিশ্বের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান।
ম্যারাডোনা চিরদিনের শত্রু, ব্রাজিলের কালো মানিক, আরেক সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে বলে দিয়েছেন, ‘ওপারে দু’জন আবার ফুটবল খেলবো।’ মেসি-রোনালদো থেকে শুরু করে সাবেক এবং বর্তমান তারকারা শোকস্তব্ধ। এমনকি ক্রিকেটাঙ্গনও শ্রদ্ধা জানিয়েছে ম্যারাডোনার মৃত্যুতে।
তবে, এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি কাঁদছে তার নিজের দেশ আর্জেন্টিনা এবং ইতালির শহর নেপলস। আর্জেন্টিনাকে একার নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। আর ইতালিয়ান ক্লাব ন্যাপোলিকে খ্যাতির চূড়ায় তুলে দিয়েছিলেন এই ম্যারাডোনা।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ গতকালই দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এ বিষয়ে বুধবার (২৬ নবেম্বর) একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ম্যারাডোনার মৃত্যুর দিন থেকেই তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবরটি যখন পান, তখন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। আর্জেন্টিনার মানুষ সবচেয়ে বাজে খবরটি পেল।
আলবার্তো ফার্নান্দেজ বলেন, তিনি বিপর্যস্ত। অবিশ্বাস্য রকমের দুঃখভারাক্রান্ত। তিনি ম্যারাডোনার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ম্যারাডোনার মরদেহ রাখা হবে।