আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ সেনাবাহিনী বা পুলিশে যোগ দিতে হলে নারীদের আগে দিতে হয় সতীত্বের পরীক্ষা। অন্যান্য যোগ্যতার পাশাপাশি এই পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হলে চূড়ান্ত ফলাফল মেলে। এই রীতি চলে আসছে বিশ্বের অন্যতম বড় দ্বীপ-দেশ ইন্দোনেশিয়ায়।
গত পাঁচ দশক ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের ওপর এই নিয়ম চলে আসছে ইন্দোনেশিয়ায়। ইন্দোনেশিয়ার মহিলারা যদি পুলিশ বা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান, তা হলে যোগ্যতা পরীক্ষায় তাঁদের প্রথমে ‘সতীত্বের প্রমাণ’ দিতে হয়!
‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নামে পরিচিত এই পরীক্ষা শুধু মহিলাদের মানসিক ভাবেই বিপর্যস্ত করে তোলে তা-ই নয়, অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক এই পদ্ধতিতে মহিলাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। অথচ পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে গেলে পুরুষদের এমন কোনো প্রমাণ দিতে হয় না।
চিকিৎসক (পুরুষ এবং মহিলা নির্বিশেষে) মহিলাদের হাইমেন পর্দা সুরক্ষিত রয়েছে কি না পরীক্ষা করেন। পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ফলে এই পর্দাটি ছিঁড়ে যায়। পর্দা ঠিকঠাক না থাকা মানেই ধরে নেওয়া হয় ওই মহিলা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। যদিও চিকিৎসকদের মতে, এই পর্দা আরও অনেক কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এই পদক্ষেপ মহিলাদের ওপর ১৯৬৫ সাল থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই তখন থেকেই দেশের ভিতরে এবং বাইরে এ নিয়ে সরব হতে শুরু করেছিলেন মহিলারা। নানা সময় এর সমালোচনা হয়েছে বিভিন্ন স্তরে। ১৯৯৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার কমিশন এই নিয়মকে বেআইনি ঘোষণা করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন এই পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দাবি করে।
দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে চুপ করে থাকা প্রশাসন এ বার নড়েচড়ে বসেছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় এই ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার আভাস দিয়েছেন এক সেনাকর্তা।