রমজান ও শবে কদরের ফজিলতের কারণ

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস রমজান। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেন- شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ

উচ্চারণ: ‘শাহরু রামাদা-নাল্লাযীউনঝিলা ফীহিল কুরআ-নু হুদাল লিন্না-ছি ওয়া বাইয়িনা-তিম মিনাল হুদা-ওয়াল ফুরকান।’ 

অর্থ: ‘রমজান মাস, যে মাসে নাজিল করা হয়েছে আল কোরআন, মানুষের জন্য হিদায়াতরূপে এবং পথনির্দেশনার প্রমাণ ও সত্য-মিথ্যা পার্থক্য নির্ণয়কারী।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বরকতময় রাত হলো শবে কদর। পবিত্র কোরআনুল কারিম নাজিলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই রাতকে হাজারের মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তম ও মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমারদের জন্য দান করেছেন। জীবন্ত মুজিজা মহাগ্রন্থ আল কোরআন এই রাতেই প্রথম নাজিল হয়েছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন- إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ

وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ

لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ

تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ

سَلَامٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ الْفَجْرِ

উচ্চারণ: ‘ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর। ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর। লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর। তানাঝঝালুল মালাইকাতুওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম  মিন কুল্লি আমর। সালা-মুনহিয়া হাত্তা-মাতলা ইল ফাজর।

লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও গুরুত্ব » Agricare24.com

অর্থ: ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি মাহাত্ম্যপূর্ণ রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় রাত্রি কী? মহিমান্বিত নিশি সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাত্রিতে ফেরেশতারা রুহুল কুদুস হজরত জিবরাইল (আ.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সকল বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষা উদয় পর্যন্ত।’ (সূরা: আল কদর, আয়াত: ১-৫)

আর এ কোরআনুল কারিম নাজিলের কারণেই রমজানের ও শবে কদরের ফজিলত, মক্কা-মদিনার ফজিলতও কোরআন নাজিলের কারণেই। কোরআনের পরশেই গিলাফ ও রেহালের সম্মান।

যে মানুষ যত বেশি কোরআনের ধারক-বাহক হবে, তার সম্মানও তত বেশি হবে

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোরআনওয়ালাই আল্লাহওয়ালা এবং আল্লাহর খাস পরিবারভুক্ত।’ ‘যে অন্তরে কোরআন নেই, তা যেন পরিত্যক্ত বিরান বাড়ি।’ ‘হাশরে বিচারের দিনে কোরআন তোমার পক্ষে বা বিপক্ষে হুজ্জত হবে।’ (মুসলিম)

যারা কোরআন তিলাওয়াত, চর্চা ও অনুশীলন করবে না, তাদের বিরুদ্ধে রোজ কিয়ামতে আল্লাহর আদালতে প্রিয় রাসূল (সা.) অভিযোগ করবেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) বলবেন, হে আমার রব! এই লোকেরা কোরআন পরিত্যাগ করেছিল।’ (সূরা: ২৫ ফুরকান, আয়াত: ৩০)

কোরআন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানি কিতাব, যা সর্বশ্রেষ্ঠ ফেরেশতা হজরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ওপর নাজিল হয়েছে। এরপর কিয়ামত পর্যন্ত আর নতুন কোনো কিতাব ও নতুন কোনো নবী বা রাসূল আসবেন না; এটিই কিয়ামত পর্যন্ত সব মানুষের জন্য দুনিয়ার শান্তি ও পরকালীন মুক্তির একমাত্র পথ।

কোরআনের অংশবিশেষ পাঠ ব্যতিরেকে মুলমানদের প্রধান ইবাদত নামাজও আদায় হয় না। এ জন্যই সহিহভাবে কোরআন তিলাওয়াত শিখতে হবে। কমপক্ষে নামাজ পড়তে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু শেখা ফরজে আইন।

SHARE THIS ARTICLE