আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃকক্সবাজারের চকরিয়া সুরাজপুর – মানিকপুর এলাকায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে গত তিন দিন ধরে অবস্থান করছে একদল বন্যহাতি। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সুরাজপুরের ছিরামুরা এলাকায় অবস্থান করছে বন্যহাতির দলটি।
লোকালয়ে একসঙ্গে ২১টি হাতি একসঙ্গে অবস্থান করায় নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয়দের। আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো এলাকায়।
এর আগে শনিবার বন্যহাতিগুলো বনে ফেরানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বৃদ্ধাসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোর থেকে সুরাজপুর – মানিকপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যহাতির দল চষে বেড়ালেও রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত ছিরামুরা এলাকায় অবস্থান করছে এসব হাতি ।সারাদিনে শত শত উৎসুক জনতা হাতি দেখতে ওই এলাকায় ভিড় জমান ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, বন বিভাগের রিজার্ভ বনভূমি ও পাহাড় কেটে বিরানভূমিতে পরিণত করায় বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে পড়েছে। এতসংখ্যক বন্যহাতি একসঙ্গে সাধারণ মানুষ কখনো দেখেননি। বন্যহাতি বাঁচলে পাহাড় বাঁচবে,পাহাড় বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। তাই পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। নিরাপদ আবাসস্থল ও খাদ্য থাকলে হাতি লোকালয়ে আসত না।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। হাতির দলকে বিরক্ত না করার জন্য উৎসুক জনতাকে বারণ করা হয়েছে। বন বিভাগের লোকজন বন্যহাতির পালকে পাহাড়ে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। আশাকরি রাতের মধ্যেই হাতির পালকে পাহাড়ে ফিরিয়ে নেয়া যাবে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যহাতির দলটি বনে ফেরাতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। জানমালের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।