আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ৩ রানে জিতলো বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৬ রান।ঠিক এমনই দৃশ্যপটে সত্যিকারের সমর্থকের দম বন্ধই হয়ে আসে। ছক্কা হজম করে উত্তেজনা বাড়ালেও মোসাদ্দেক নিরাশ করলেন না। নাটকীয়তা ছড়াল ঠিকই কিন্তু শেষ হাসি বাংলাদেশেরই!
শেষ ওভার করার জন্য সাকিব আল হাসান বল তুলে দিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে। ব্যাট করছেন ব্রাড ইভান্স এবং রায়ান বার্ল। প্রথম বলে দিলেন ১ রান। দ্বিতীয় বলে ব্রাড ইভান্স ছক্কা হাঁকাতে গেলেন। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে বলটি তালুবন্দী করে নিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪ বলে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান।
তৃতীয় বলটি উইকেটরক্ষকের পেছন দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দেন ব্রাড ইভান্স। চতুর্থ বলে দিলেন ছক্কা। ২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন পড়ে ৫ রান। পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে মিস করেন ইভান্স। বল ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দিতে মোটেও বিলম্ব করেননি নুরুল হাসান সোহান। ১ বলে প্রয়োজন ৫ রান।
জয়ের জন্য প্রয়োজন ১ বলে ৪ রান। সেই বলেও রান নিতে পারেনি মুজারাবানি। উচ্ছ্বাস বয়ে উঠে গ্যালারির বাংলাদেশ সমর্থকদের মধ্যে।
এর আগে ব্রিসবেনের গ্যাবয়ে টসে জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তুলে টাইগাররা।
ব্রিসবেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভ ম্যাচে হেসেছে শান্তর ব্যাট। তার ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের স্কোরের প্রায় অর্ধেকটাই এসেছে শান্তর ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আফিফ হোসেনের। ১৯ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি খেলেছেন তিনি। এছাড়া ২৩ রান সাকিবের। আর ১৪ রান করেছেন লিটন দাস। এছাড়া আর কোনও ব্যাটার যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে।
জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে সফল বোলার রিচার্ড এনগারাভা। এই পেসার ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ব্লেসিং মুজারাবানি ২ ওভারে ১৩ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট।