জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘে চিঠি পাঠাল রোহিঙ্গারা

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় বসবাস করা রোহিঙ্গারা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদের মাধ্যমে জাতিসংঘের কাছে চিঠিটি পাঠান রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৭ সালে সামরিক জান্তা আট লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে। আমরা চিঠিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি, সামরিক জান্তা বাহিনী যে কোনো মুহূর্তে আমাদের ওপর আরও বড় আক্রমণ করতে পারে। চিঠিতে এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতিসংঘকে শূন্যরেখার আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে।

এ চিঠি জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের মানবিকতা | 1044761 | কালের কণ্ঠ | kalerkantho

গেল সাড়ে পাঁচ বছরে জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গারা আতঙ্কে রয়েছে।

এর আগে, সোমবার বিকালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্টার শেল হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে ব্যানার -ফেস্টুন দিয়ে মর্টার শেল হামলায় রোহিঙ্গা ইকবাল হত্যার প্রতিবাদ জানান তারা।

সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, শুরুর দিকে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) গোলাগুলি-সংঘর্ষ শুরু হলেও এখন তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ গোলাগুলি করে পরিস্থিতি অশান্ত করছে।

রোহিঙ্গা সংকট: মিয়ানমারের যুদ্ধাপরাধ তদন্তে তহবিল বরাদ্দের ঘোষণা

সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম বলেন, গত শুক্রবার রাতে শূন্যরেখায় পরিকল্পিতভাবে মর্টার শেল হামলা চালিয়েছেন মিয়ানমারের মিলিটারিরা। তারা চায় আমরা এখান থেকে সরে যাই, আমরা যাব না। যদি যেতেই হয় শূন্যরেখায় রোহিঙ্গারা হেঁটে পাহাড়ের অপর প্রান্তে রাখাইনে নিজেদের ভিটায় ফিরবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তুমব্রুতে রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদ সমাবেশ, জাতিসংঘে চিঠি

উল্লেখ্য, গত জুলাই থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সেদেশের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে চলা সংঘাতে অস্থির হয়ে উঠেছে রাখাইন রাজ্য।

সংঘাতের প্রভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে, তিন দফায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা মর্টার শেল পতিত হয়েছে ঘুমধুমে। সর্বশেষ, এক রোহিঙ্গা নিহত ও ৬ জন আহত হওয়ার ঘটনা উৎকণ্ঠা বেড়েছে সীমান্ত এলাকায়।

SHARE THIS ARTICLE