আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ আগামী ১৯শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ডাবলিন বিমানবন্দরে দুটি কোভিড -১৯ পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে। বেসরকারীভাবে পরিচালিত এই কেন্দ্রগুলি যাত্রীদের জন্য ড্রাইভ-থ্রু বা ওয়াক-ইন পরীক্ষার সুযোগ তৈরি করবে।
ওয়াক-ইন পরীক্ষার জন্য ব্যয় হয়ে ৯৯ ইউরো আর ফলাফল পাওয়া যাবে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। ড্রাইভ-থ্রু টেস্টের জন্য পরীক্ষার ধরন এবং ফলাফল প্রাপ্তির দ্রুততার উপর নির্ভর করে ব্যয় হবে ১২৯-১৫৯ ইউরো পর্য্যন্ত।
প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ১২,০০০ পর্যন্ত টেস্টের সক্ষমতা থাকবে, তবে খুব শীঘ্রই তা বাড়িয়ে ১৫,০০০ করা হবে। যাত্রী কিংবা কিংবা যাত্রী নন, যাদেরই প্রয়োজন হবে তারা সকলেই এই পরিসেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
ডাবলিন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভিনসেন্ট হ্যারিসন বলেছেন, “আমরা বেশ কিছুদিন থেকেই ডাবলিন বিমানবন্দরে পরীক্ষার সুবিধা সৃষ্টির জন্য আগ্রহী ছিলাম, সরকারের প্ল্যানিং পারমিশন ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা দৃঢ়ভাবে স্বাগত জানাই, এটি বৃহস্পতিবার থেকে দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করতে আমাদেরকে সক্ষম করবে।”
পরীক্ষাগুলি পিসিআর এবং ল্যাম্প উভয় ধরনের হবে এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা “র্যানডক্স” এবং “রকডোক” এই পরীক্ষার ব্যাবস্থা করবে। পরীক্ষা করানোর জন্যে আগেভাগে অনলাইনে প্রিবুকিং দিয়ে আসতে হবে। র্যানডোক্সের ওয়াক-থ্রু সুবিধা থাকবে টার্মিনাল-২ এর বহুতল গাড়ি পার্কিং এর পে-কেন্দ্রের নিকটে আর রকডকের ড্রাইভ-থ্রু কেন্দ্রটি এক্সপ্রেস গ্রিন গাড়ি পার্কের নিকটে থাকবে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ট্রাফিক লাইট ব্যবস্থা প্রবর্তনের সাথে সাথে ডাবলিন বিমানবন্দরে পরীক্ষা করার প্রয়োজনীতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ট্রাফিক লাইট পদ্ধতিতে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল প্রতি সপ্তাহে সংক্রমণের হার অনুসারে ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে সবুজ, কমলা এবং লাল হিসেবে মনোনীত করবে। সবুজ অঞ্চল থেকে যেসকল যাত্রী আসবেন তাদের চলাচলের উপর কোন বিধিনিষেধ থাকবেনা না, কমলা অঞ্চল থেকে আগত যাত্রী যাদের বিগত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেস্টের ফলাফল নিগেটিভ আছে তাদের চলাচলেও কোন বিধিনিষেধ থাকবেনা। লাল অঞ্চল থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য আপাততঃ চলাচল সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। তবে আগামী ২৯ শে নভেম্বর থেকে আগমনের ৫ দিন পর টেস্ট করে নিগেটিভ হলে তাদেরও চলাচল সীমাবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
সরকার জনসাধারণকে অত্যাবশ্যক নয় এমন ধরনের বিদেশ ভ্রমণ না করার এবং তাদের যদি যেতেই হয় তবে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়ে চলেছে।