কিংবদন্তি গণসংগীতশিল্পী ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর আর নেইঃ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহলের শোক

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ করোনায় আক্রান্ত কিংবদন্তি গণসংগীতশিল্পী ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে সময়ে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহল থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তারা এই কিংবদন্তি শিল্পীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। এক শোক বার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ছিলেন ফকির আলমগীর। দেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলন সংগ্রামে তিনি তার গান দিয়ে সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন।

তিনি বলেন, কিংবদন্তি এই শিল্পীর মৃত্যু বাংলাদেশের গণসংগীতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, যা কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়। সংগীত জগতে তার অবদান বাংলাদেশের মানুষ চিরদিন মনে রাখবে।

জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন শোক বার্তায় বলেন, ষাটের দশক থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ফকির আলমগীর মেহনতী জনতার পক্ষে দেশপ্রেমের গান গেয়েছেন। তার দরাজ কণ্ঠের রক্তে স্রোত জাগানো সংগীত সব সময় মুক্তিকামী ছাত্রজনতাকে উজ্জ্বীবিত করেছে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগত এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হলো।

শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তারা বলেন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে একজন শব্দ সৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

SHARE THIS ARTICLE