বৃহস্পতিবার দিনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আমল ও ফজিলত

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ হযরত আকরামা ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি বৃহস্পতিবার জোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে দুই রাকআত নামাজ এভাবে আদায় করে যে, প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর আয়াতুল কুরসি ১০০ বার এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস ১০০ বার পাঠ করে, নামাজ শেষ করার পর ১০০ বার দরূদ শরিফ পাঠ করে, তবে সে রজব, শাবান ও রমজান মাসে রোজা রাখার সমতুল্য সওয়াব লাভ করবে এবং হাজিদের মতো পুণ্যবান হবে এবং আল্লাহর ওপর ভরসাকারীদের মতো পুণ্য লাভে সমর্থ হবে।

হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে দুই রাকআত নামাজ এভাবে আদায় করে যে, সূরা ফাতিহার পর আয়াতুল কুরসি পাঁচবার, সুরা ইখলাস পাঁচবার, সূরা ফালাক পাঁচবার এবং সূরা নাস পাঁচবার পাঠ করে এবং নামাজ আদায়ের পর ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ পনেরো বার পাঠ করে ইহার সওয়াব মা-বাবর রূহের উপর বখশিয়ে দেয়, তাহলে সে পূর্ণভাবে মা-বাবর হক আদায় করল এবং আল্লাহর পিয়ারা বান্দা সিদ্দীক ও শহীদগণের সমতুল্য মর্যাদা লাভ করতে সমর্থ হল।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) সোমবার এবং বৃহস্পতিবারের রোজার অপেক্ষা করতেন। (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, নাসাঈ)

রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামকে তার থেকে ১০০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন। (আস সিলসিলাতুস সহিহাহ: খণ্ড-৬, হাদিস নম্বর: ২৫৬৫)

আর সোম ও বৃহস্পতিবার যেহেতু বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পৌছানো হয়; তাই সপ্তাহে এ দুইদিন প্রিয় নবীর (সা.) অনুসরণে রোজা পালনেও আল্লাহর কাছে সুন্দর বিনিময় পাওয়া সম্ভব।

SHARE THIS ARTICLE