ব্রাজিল সমর্থকের পিটুনি খেয়ে হাসপাতালে ৩ আর্জেন্টিনা সমর্থক

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃমাঠের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বিশ্ব ক্রীড়ামোদীদের আনন্দ-বিনোদন দিলেও তাদের  বাংলাদেশি সমর্থকদের লড়াই মোটেও সুখের নয়। বছরবছর বিশ্বের বড় বড় আসরের খেলা নিয়ে আনন্দের চেয়ে তিক্ত ঘটনার সূত্রপাত বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। এবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এমনি কান্ড ঘটেছে।

মঙ্গলবার বিকালে ও সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন নওয়াব মিয়া (৬০), জাকির মিয়া (৩২), সেলিম মিয়া (৪৫) ও সৈয়দাবুর রহমান (৩৫)। এদের মধ্যে নওয়াব মিয়া ব্রাজিল সমর্থক। বাকিরা আর্জেন্টিনার সমর্থক। তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকালে আলাকপুর গ্রামের ব্রাজিলের সমর্থক রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়াকে বেধড়ক মারধর করেন আর্জেন্টিনার সমর্থক মো. জীবন মিয়াসহ ৪-৫ জন। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নওয়াব মিয়া আলাকপুর গ্রামের মৃত খেলু মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল বনাম পেরুর মধ্যকার সেমিফাইনাল খেলায় ব্রাজিল ১-০ গোলে জয়ী হয়। এই খেলা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নওয়াব মিয়ার ভাতিজা ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সঙ্গে একই এলাকার আর্জেন্টিনার সমর্থক মো. জীবন মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয়রা উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার জেরে বিকালে ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়াকে দামচাইল বাজারে একা পেয়ে আর্জেন্টিনার সমর্থক জীবন মিয়াসহ ৪-৫ জন মিলে মারধর করে পালিয়ে যান। পরে নওয়াব মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় ব্রাজিলের সমর্থক রেজাউলের চাচাতো ভাই (নওয়াব মিয়ার ছেলে) আরমান, আলী হোসেন ও ইসহাক মিয়াসহ কয়েকজন মিলে আর্জেন্টিনার সমর্থক জাকির মিয়া, সেলিম ও সৈয়দাবুর রহমানকে মারধর করেন। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সংঘর্ষে আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে কেউ যেন আর বাড়াবাড়ি না করে পুলিশের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও সংঘর্ষে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

SHARE THIS ARTICLE