ভারত বাংলাদেশে পেয়াজ রফতানির উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা অবশেষে প্রত্যাহার করেছে।

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রফতানির উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা অবশেষে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। রাতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর ফলে আগামী ২ জানুয়ারি থেকে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ভারত সরকার গত ১৪ সেপ্টেবম্বর হঠাৎ করে অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। সেসময় থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার, পাকিস্তান ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে আসে। এই অবস্থায় গত সোমবার ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালক অমিত ইয়াদব কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক নোটিফিকেশনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানায়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, সোমবার রাতে ভারতের ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছে। তারা বলেছে, ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে গত সেপ্টেম্বর মাসে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সেটি প্রত্যাহার করে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করার অনুমতি দিয়েছে। ১ জানুয়ারি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ২ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে আমদানি শুরু হতে পারে। আমরা পেঁয়াজের এলসি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমদানির ক্ষেত্রে নিদিষ্ট করে কোনো মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে তিনশ ডলারের মধ্যেই আমদানি করা যাবে। ভারতের পেঁয়াজ আমদানি হলে পাইকারি ২০-২৫ টাকার মধ্যে প্রতি কেজি বিক্রি হতে পারে।

এদিকে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবো কিনা তা আজকের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রফতানি বন্ধের আগে আমাদের ১০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজের এলসি করা ছিল। কিন্তু অনেক অনুরোধের পরও সেই পেঁয়াজ ভারত আমাদের দেইনি। এতে করে আমরা ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আর এখন দেশে ব্যাপক পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। কৃষকেরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই বিষয়ের প্রতিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

SHARE THIS ARTICLE