আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্যে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের ব্যাপক প্রশংসা করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ গ্রুপ।
গতকাল শুক্রবার এক বার্তায় ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের মুখপাত্র দাউদ শিহাব বলেন, ইসলাম ও মুসলিমদের রক্ষায় তুরস্কের অবস্থান প্রথম সারিতে।
শিহাব আরো বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো প্রকাশ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুতার কথা ঘোষণা করেছে।
ম্যাক্রো কয়েক দিন আগে ইসলাম ও মুসলিম সম্প্রদায়কে “বিচ্ছিন্নতাবাদী” বলে আক্রমণ করেছিল। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম সারা বিশ্বে সঙ্কটে রয়েছে।
ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের মুখপাত্র আরো বলেন, ফ্রান্স ইসলামের সাফল্যকে অবহেলা করে এবং মুসলিমদের বর্ণবাদী বলে আখ্যা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইসলামের বিরুদ্ধে ম্যাক্রোর উস্কানির ফলস্বরূপ, ফ্রান্স জুড়ে মুসলিমরা ঘৃণ্য আক্রমণের শিকার। গত বুধবারেও ফ্রান্সে দুই মুসলিম নারীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার এরদোগান ইসলাম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য মুসলমানদের মধ্যে আন্তঃসংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্ণবাদ, জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো সংকটগুলোকে মুসলিমবিশ্বের গভীরে আঘাত করার জন্য ইস্যু হিসেবে বানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাপী গড়ে প্রতিদিন এক হাজার মুসলমান সন্ত্রাসবাদ এবং সংঘাতের শিকার হচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, সংকট উপেক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে আমরা মুসলমানরা সন্ত্রাসবাদ, ক্ষুধা, অসমতার মতো নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। প্রতিটি সম্মেলনে রাজনৈতিক যুক্তি-তর্ক নিয়ে আলোচনা, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেকার সমঝোতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ কারণে রাজনৈতিক আলোচনার পাশপাশি ধর্মীয় মূলবোধের চর্চা বাড়ানোর জন্য ওআইসির প্রতি আহ্বান জানান এরদোগান।
ভুল বোঝাবুঝি এবং ভুল শিক্ষার কারণে মুসলমানরা সমাজে নানা ধরনের সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাস্তব জীবন এবং ধর্মীয় সর্বজনীনতার মধ্যে শক্তিশালী, দৃঢ়-অবিচল একটি সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি।
পশ্চিমা কিছু দেশের ইসলামোফোবিক (ইসলামভীতি) নীতির তীব্র সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তিনি বলেন, ইসলামোফোবিক পদক্ষেপ ওইসব দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের ব্যর্থতা ঢাকার একটি সফল হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এসব অঞ্চলে ইসলামকে রাষ্ট্র প্রধানরা নিজেদের মতো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে ফরাসি ইসলাম, ইউরোপীয় ইসলাম এবং অস্ট্রেলিয়ান ইসলামকে তুলে ধরেন এরদোগান।
এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশেষ করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ইসলাম এবং মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এরদোগান।