লকডাউনে মসজিদে নামাজ আদায়, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ৭ দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে। তবে মসজিদের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নামাজ আদায় করতে হবে। এছাড়া সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

মানতে হবে যেসব শর্ত

কঠোর লকডাউন চলাকালে দেশের সব মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু ও সুন্নত নামাজ আদায় করে মসজিদে আসতে হবে। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং মসজিদে কারপেট বিছানো যাবে না।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে, কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং তাদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবে। সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান-হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিদের দোয়া করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মসজিদের খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

এছাড়া অন্যান্য সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার-সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।

উল্লেখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

SHARE THIS ARTICLE