লন্ডনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাবিনা হত্যাকান্ডে আটক ১

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণী ও স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেসা হত্যায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ৩৮ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন অভিযুক্তকে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের লেউয়িশাম এলাকা গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রো। অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তি এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

এর আগে দক্ষিণ লন্ডনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ব্রিটিশ-বাংলাদেশি স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা খুন হন। গত শুক্রবার বাসা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের হাঁটা পথে একটি পার্কের ভেতর দিয়ে পানশালায় যাওয়ার সময় ২৮ বছর বয়সী ওই তরুণী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এই তরুণী হত্যাকাণ্ড ঘিরে ব্রিটেনে তোলপাড় শুরু হয়।

এক বিবৃতিতে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে, গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ লন্ডনের বাসা থেকে বেরিয়ে যান সাবিনা নেসা। দেশটির গোয়েন্দাদের ধারণা, নেসা তার বাসা থেকে বেরিয়ে ক্যাটর পার্কের ভেতর দিয়ে পেগলার স্কয়ারের দিকে একটি পানশালার উদ্দেশে হাঁটছিলেন। ওই পানশালায় এক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা ছিল তার।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পার্কের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। আগের দিন রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেও তার মরদেহ পাশের একটি কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পাওয়া যায় পরদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।

নিহত সাবিনার বন্ধুরা বলছেন, সাবিনা নেসা সবার প্রিয় মানুষ ছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতার জন্য দুবাই যাওয়া। এদিকে এই ঘটনায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। ভিডিওতে পেগলার স্কয়ারের পাশে যেখানে সাবিনা আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, সেখানে একজনকে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে।

এছাড়া ভিডিওতে ওই একই এলাকায় একটি সিলভার রঙয়ের গাড়িও দেখা যাচ্ছে। গোয়েন্দাদের ধারণা- পায়চারি করা ব্যক্তিটি ওই গাড়িতে করেই সেখানে এসেছিলেন। ওই ব্যক্তি বা গাড়িকে কেউ শনাক্ত করতে পারলে অবিলম্বে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশালিস্ট ক্রাইম কমান্ডের গোয়েন্দা প্রধান ইন্সপেক্টর নেইল জন বলেছেন, ‘সাবিনার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে আমরা অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসেবে আমরা ব্যাপকভাবে সিসিটিভি ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করছি। কাজ এখনও চলছে।’

SHARE THIS ARTICLE