আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯ টি মরদেহ এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শামীম আহসান।
তিনি জানিয়েছেন, সেখানে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ১০২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪ জনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে সেখানে বার্ন ইউনিটে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে নিয়ে আসা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন মৃতদের মধ্যে পাঁচজন দমকল কর্মী রয়েছেন।
মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে আহতের সংখ্যা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশসহ দুইশ জনের মতো মানুষ।
এই ঘটনায় দুই শতাধিক আহত হয়েছে। যাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহরের বেশ কটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মোঃ মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন।
সেখানে একটু পরপর বিস্ফারণের হচ্ছে বলে আগুন নেভাতে সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।
এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
আগুন নেভাতে আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে দমকল কর্মীরা যোগ দিয়েছেন। সহায়তা করছে সেনাবাহিনী সদস্যরা।
শনিবার রাত নটার দিকে সীতাকুণ্ডের একটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে শুরুতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
এর চল্লিশের মিনিটের মাথায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। মালবাহী কন্টেইনারগুলো দুমড়ে মুচড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।
বিস্ফোরণের সময় দমকল বাহিনীর কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছিল।
আগুন নেভানোর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের একজন কর্মকর্তা বলেন, যেভাবে বিস্ফোরণ হচ্ছে তাতে আমাদের পক্ষে ভেতরে থাকা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আমরা ডিপোর মেইনগেটে চলে এসেছি। একটানা কাজ করতে গিয়ে পানির সংকটেও ভুগতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। আগুন নেভানোর কাজ কখন শেষ হতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেফটি ফার্স্ট। বিস্ফোরণ যেভাবে হচ্ছিল তাতে ভেতরে থাকা সম্ভব ছিল না। আগুন কতক্ষণে নেভাতে পারব, এ বিষয়ে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা