আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, হেফাজত কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। হেফাজতের কর্মসূচিগুলোর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে যে, যেকোনো দল বা সংগঠন তাদের মতপ্রকাশের জন্য সমাবেশ করতে পারে, মিছিল করতে পারে। এইখানে যে আঘাতটা এসেছে আমরা তার প্রতিবাদ করছি-এটা বুঝতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার একটা প্রচারণা চালাচ্ছে যে, আমরা হেফাজতকে সমর্থন দিয়েছি। আমরা সাম্প্রদায়িক একটা সমস্যা তৈরি করতে পেছন দিক থেকে মদত দিচ্ছি, উস্কানি দিচ্ছি। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি নয়, উস্কানি দিয়েছে সরকার। প্রথম থেকে উস্কানি দিয়ে আজকে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে তারা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা লক্ষ্য করবেন, হেফাজতের প্রথম যে মিছিল ছিল বায়তুল মোকাররমে। তারা একটা সাধারণভাবে প্রতিবাদ মিছিল করতে চেয়েছিল। সেই মিছিলের ওপরে উত্তর দিক থেকে পুলিশ আক্রমণ করেছে। দক্ষিণের গেইট দিয়ে যখন পালাতে গেছে তখন আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করেছে এবং সেখানে বহু লোককে হতাহত করেছে। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। তারা সেখানে মিছিল করতে গেলে সেখান গুলি করেছে, সেই গুলিতে মারা গেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা কলঙ্কজনক অধ্যায় সংগঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর যখন সমগ্র জাতি পালন করছে তখন পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনীর গুলি ও আক্রমণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরেছে।
এসময় মির্জা ফখরুল সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।