শিপন দেওয়ান – আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) আশঙ্কা করছে যে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিটেন্সে প্রায় ২২ শতাংশ পতন হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ)-এর অর্থায়নে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে আইওএম বিদেশে আটকে থাকা অভিবাসী এবং ইইউ দেশফেরত বিপদাপন্ন প্রবাসীদের সহায়তা প্রদান করছে।
গত মার্চ থেকে ইউ-এর অর্থায়নে পরিচালিত ১০টি পুনরেকত্রীকরণ সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে ৮০৬ জন ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশ ফেরত প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা এই সেবাকেন্দ্রসমূহের আওতাভুক্ত। এদের মধ্যে বিপদাপন্ন প্রবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা হয় এবং চলাচলে বিধি-নিষেধ, বেকারত্ব এবং ঋণের মত এই মহামারি সৃষ্ট বিরূপ প্রভাব কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সে সম্পর্কে কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরিংক বলেন, প্রবাসীসহ সর্বোচ্চ বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর উপর এই মহামারির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সরকারদের সহায়তা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রস্তুত।
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, বিভিন্ন দেশ বিধি-নিষেধ শিথিল করলে হাজার হাজার অভিবাসী বাংলাদেশে ফিরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব থেকে বৈশ্বিক শ্রমবাজার পুনরায় ঘুরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত তাদের বিদেশে কাজে ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা কম।