আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ৯০ এর পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতাসিন দলগুলোর দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতির ট্রামকার্ড হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছেন পল্লীবন্ধু সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দুটি বড় দল মঞ্জুর হত্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে তাকে রাজনীতিতে কুনঠাসা করে রেখেছিলেন।
অবশেষে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনা সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে তাদের অব্যাহতি দেন।
এছাড়া মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইঞা ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে, ১২ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন।
২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আসাদুজ্জামান খান রচি মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। আবেদনের শুনানিতে তিনি বলেন, এ মামলায় সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। ফলে আরও অনেককে সাক্ষী করা যায়নি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রামে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। ওই সময়ে চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২রা জুন তাকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।