এ,কে,আজাদ- আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ব্রিটেনের সংসদীয় ভোটে ব্রেক্সিট পরবর্তী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্যরা। চুক্তিটি পাস করানো জন্য হাউজ অব কমন্সে একটি বিল নিয়ে আসা হয়। বড়দিনের ছুটির পর সংসদ আবার বসলে বিলটির পক্ষে ৫২১ ভোট এবং বিপক্ষে ৭৩ ভোট পড়ে। এতে করে কোনো সমস্যা ছাড়াই ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিটি পাস হয়। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় এই খবর নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি।
সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ লেবার পার্টির এমপিরা (সংসদ সদস্য) আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। তবে, এই সমর্থনের আগে দলটির নেতা স্যার কেইর স্টারমার এই চুক্তিকে মন্দের ভালো হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, কোন চুক্তি না হওয়ার চেয়ে এমন চুক্তিও ভালো। তার দৃষ্টিতে এটা হালকা ও বেশ দুর্বল একটা চুক্তি।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে গণভোটের সাড়ে চার বছর পরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চূড়ান্তভাবে বের হয়ে যাচ্ছে ৪৭ বছর একসঙ্গে থাকা বৃটেন। হাউস অব লর্ডসও বিলটি পাস করেছে, এখন এটি বৃটিশ রাণীর সম্মতি ও গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিলটি পাস করার জন্য সংসদ সদস্য এবং সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বলেন, এই দেশের (যুক্তরাজ্য) ভাগ্য এখন আমাদের হাতে।
সর্বসম্মতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রেক্সিট-উত্তর বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে তা অনুমোদন দেয়ায় নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। যদিও ব্রিটিশ জেলেরা বলছেন, এ চুক্তির মাধ্যমে ইইউর কাছে তাদেরকে বিকিয়ে দেয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ৮০ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকারী সেবা খাতকে কোনো গুরুত্বই দেয়া হয়নি। ইউরোপের সঙ্গে স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য সরকার, যার মাধ্যমে অতীতে হাজারো ইউরোপীয় শিক্ষার্থী উপকৃত হয়ে আসছিল।
দীর্ঘ ৯ মাসের আলোচনা শেষে গত ২৪ ডিসেম্বর ব্রাসেলসে যুক্তরাজ্য ও দেশটির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী এই সুবিধাজনক বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার লেন। এরপর ২৬ ডিসেম্বর চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করে উভয়পক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ জুন ব্রেক্সিট ইস্যুতে অনুষ্ঠিত গণভোটে বৃটেনের ৫২ শতাংশ নাগরিক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার পক্ষে আর ৪৮ শতাংশ ভোট দেয় ব্রেক্সিটের বিপক্ষে। এরপর থেকেই বৃটিশ নাগরিকদের ওই সিদ্ধান্ত কার্যকরে কাজ করে আসছিল বৃটিশ প্রশাসন। চূড়ান্তভাবে বের হয়ে আসার আগে চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর ইউরোপরে ২৮ দেশের ওই জোট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে আসে যুক্তরাজ্য