হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েই ঈদের নামাজ আদায় (ভিডিও)

ছবি: ইউএনবি

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নিমাণের কাজে অংশ নিতে আসা শ্রমিক ও গ্রামবাসী বন্যাপ্লাবিত মাঠে পানিতে দাঁড়িয়েই ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রা উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নিমাণের কাজে অংশ নিতে আসা শ্রমিক ও গ্রামবাসী বন্যাপ্লাবিত মাঠে পানিতে দাঁড়িয়েই ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে।

ভিডিওঃ সময় সংবাদ

গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পানে’ মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে খুলনার কয়রা উপজেলার। ঘূর্ণিঝড়ে এই উপজেলার ১২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২১ স্থানে ৪০ কিলোমিটারের অধিক বাঁধ ভেঙে  লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। নদী ও সমুদ্রের নোনা জলে বিলীন হয়ে গেছে এ অঞ্চলের মানুষের জনজীবন। গত পাঁচদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর দূষিত নোনা পানির তলে অবস্থান করছে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ৬২টি গ্রাম। এখন জরুরি ভিত্তিতে সেসব ভাঙা বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। ঈদের দিনেও থেমে নেই জরুরি মেরামতের কাজ।

সকালে একদফা কাজ করে অজু করে সবাই প্রায় হাঁটু পানিতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে যান ঈদের জামায়াতে। ইমামতি করেন কয়রা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন। একটা লাঠির মাথায় হ্যান্ড মাইক বেধে নামাজ পরিচালনা করেন একজন অপেশাদার ইমাম। খুতবা পাঠ বা মোনাজাতে নিজেদের, দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনায় এতটুকুও কমতি ছিল না এ জামায়াতে। 

ছবি: ইউএনবি

খোলা স্থানে ঈদগাহে জামায়াতে নামাজ পড়া যাবে না, স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে, মুখে মাস্ক থাকতে হবে, বাড়ি থেকে নিজের জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে, দূরত্ব বজায় রেখে জামায়াতে দাড়াতে হবে- এসব কোন কিছুই এখানে কার্যকর থাকে নি।

নামাজ শেষে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণে অংশ নেন উপজেলার এসব মানুষ। কারণ,  প্রয়োজন কোনো বাধা মানে না। ঈদের নামাজ যেমন প্রয়োজন, জলমগ্নতা থেকে বাঁচার জন্য বাঁধ নির্মানের কাজটাও জরূরী প্রয়োজন।

SHARE THIS ARTICLE